আর্জেন্টিনায় করোনা মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পঞ্চম দেশ হিসাবে আর্জেন্টিনার মোট মৃত্যুসংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করল। দেশটিতে বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সূত্র, আল জাজিরা।
বুধবার আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১৪ জন মারা গেছেন। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আর্জেন্টিনায় এখন পর্যন্ত ৪.৭ মিলিয়ন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন, এক লাখ ২৫০ জন।
সম্প্রতি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোপা আমেরিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই টুর্নামেন্টটি প্রথমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনায়। কিন্তু আর্জেন্টিনায় করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণেই টুর্নামেন্টটি ব্রাজিলে সরিয়ে নেয়া হয়।
প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পিএএইচও) প্রধান কারিসা এতিয়েন্নে বুধবার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আর্জেন্টিনায় ‘সক্রমণ আবার বাড়ছে’।
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষ আত্মতুষ্টিতে ভোগে তখনই সংক্রমণ বেড়ে যায়। আমরা সবাই ক্লান্ত। কিন্তু একই এলাকায় যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আমাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্রমণের চক্র ভেঙে দিতে হবে।’
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার প্রতিটির জন্যই আমি অনুতপ্ত। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, আমরা ভ্যাকসিন দেয়া বন্ধ করব না।’
কিন্তু করোনায় যাদের স্বজন আক্রান্ত হয়েছেন বা মারা গেছেন তারা সেসব ভয়াবহ স্মৃতি কোনোভাবেই হৃদয় থেকে মুছতে পারছেন না। পাঁচ বছর বয়সী সান্দ্রা দেল ভ্যালে পেরেয়ারের মা-বাবা দুজনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রয়টার্সকে এই শিশু বলেছে, ‘আমাকে একা রেখে তারা চলে গেছেন। প্রথমে আমার মা মারা যায়, তারপর বাবা। আমি জানি না এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসে মানুষের পরিণতি আরো কী হবে?’
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে আবার লকডাউন ঘোষণা করে আর্জেন্টিনা সরকার।