মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আশ্বাস দিয়েছে যে, হিজবুল্লাহর সাথে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বাইডেন প্রশাসনের একজন নামহীন সিনিয়র কর্মকর্তা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানের উপর ড্রোন এবং রকেট হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। পাল্টা জবাবে, ইসরায়েল লেবাননের ভিতরে হিজবুল্লাহর অবস্থানের উপর বিমান হামলা চালাচ্ছে।
বাইডেন প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা তাদের সামরিক ও কৌশলগত সহায়তা প্রদান করব।” এই প্রতিশ্রুতি মূলত ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা প্রদান এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং সংঘর্ষের বিস্তার রোধ করতে নেওয়া হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেশ কিছু কূটনৈতিক ও সামরিক উদ্যোগ নিয়েছে।
হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম জানিয়েছেন, “আমরা যুদ্ধ চায় না, কিন্তু যদি আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, আমরা প্রস্তুত।” এই বিবৃতিতে বোঝা যায় যে, হিজবুল্লাহও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধের সম্ভাব্য বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং সকল পক্ষকে সর্বাধিক সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আঞ্চলিক সংঘর্ষের বিস্তার রোধ করা অত্যন্ত জরুরি।”
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক সমীকরণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন রাজনৈতিক এবং সামরিক সমীকরণ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।