গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবির এবং আল-তুফাহ পাড়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো দুটি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই হামলাগুলোতে বহু মানুষ আহত হয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখা যাচ্ছে।
আল-শাতি শিবিরে এবং আল-তুফাহ পাড়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আল-শাতি শিবিরে অন্তত ৩০ জন এবং আল-তুফাহ পাড়ায় আরও ২০ জন নিহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং রক্তদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং সকল পক্ষকে সর্বাধিক সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের হামলা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।” বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, “আমরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, “নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর এই ধরনের হামলা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সংঘর্ষের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমস্ত পক্ষকে আলোচনা করতে হবে।
এই ঘটনার ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে এবং একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।