1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
চীন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে নতুন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ - starmail24
শিরোনাম :
শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা মনে করে না অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে : রিজভী বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বাবা-ছেলের প্রাণ গেল দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ, হাইকোর্টের সামনে শিক্ষার্থীরা ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির‌ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জার্মানিতে প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শারদীয় দূর্গা উৎসব মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি ৭ দিনের রিমান্ডে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি




চীন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে নতুন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ

স্টার মেইল ডেস্ক:
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪
Starmail24_france

চীন এবং ফ্রান্স একসঙ্গে একটি নতুন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে যা মহাকাশে গামা রশ্মি বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণ করবে। এই উপগ্রহটির নাম স্পেস ভ্যারিয়েবল অবজেক্টস মনিটর এবং এটি চীন জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন এবং ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পেস স্টাডিজ এর যৌথ প্রচেষ্টার ফলাফল।

স্পেস ভ্যারিয়েবল অবজেক্টস মনিটর প্রকল্পটি ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি চীন এবং ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিতীয় উপগ্রহ সম্পর্কিত সহযোগিতা। এর আগে, ২০১৮ সালে চীন-ফ্রান্স মহাসাগরীয় উপগ্রহ  উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। স্পেস ভ্যারিয়েবল অবজেক্টস মনিটর উপগ্রহটি মহাকাশের উচ্চ শক্তির ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি, বিশেষ করে গামা রশ্মি বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এই ৯৩০ কিলোগ্রামের উপগ্রহটিতে চারটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে: চীন দ্বারা সরবরাহিত গামা-রে বার্স্ট মনিটর এবং দৃশ্যমান টেলিস্কোপ, এবং ফ্রান্স দ্বারা সরবরাহিত ইক্লেয়ারস টেলিস্কোপ এবং মাইক্রোচ্যানেল এক্স-রে টেলিস্কোপ। এগুলো মিলিতভাবে গামা রশ্মি বিস্ফোরণের বিভিন্ন পর্যায় পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে, যার মধ্যে সফট এক্স-রে থেকে উচ্চ শক্তির গামা রশ্মি এবং দৃশ্যমান আলো অন্তর্ভুক্ত।

স্পেস ভ্যারিয়েবল অবজেক্টস মনিটর উপগ্রহটি ২০২৪ সালের ২২ই জুন  চীনের সিচুয়ান প্রদেশের শিচাং স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ ২সি রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয় ।

চীন এবং ফ্রান্স উভয়ই এই মিশনের জন্য নিজেদের নিজস্ব সুবিধা এবং দক্ষতা কাজে লাগাবে। চীন উন্নত মহাকাশযান ডিজাইন ও নির্মাণে দক্ষ এবং বড় মহাকাশ প্রকল্পগুলো সফলভাবে পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অপরদিকে, ফ্রান্সের বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক যন্ত্র তৈরি করার দক্ষতা রয়েছে।

স্পেস ভ্যারিয়েবল অবজেক্টস মনিটর প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, চীন এবং ফ্রান্স মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে আরও সহযোগিতার আশা করছে। এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করবে এবং মহাকাশ গবেষণায় নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে।

এই যৌথ প্রকল্পটি শুধু চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে না, বরং বৈশ্বিক মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে এবং ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।




আরো পড়ুন