রিশি সুনাক সম্প্রতি তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি বিতর্কিত প্রস্তাব তুলেছেন, যেখানে তিনি জাতীয় সেবায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যক্তিদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আর্থিক পরিষেবায় সীমাবদ্ধতা আরোপের কথা বলেছেন। এই প্রস্তাবটি জাতীয় সেবা পরিকল্পনার অংশ, যা যুক্তরাজ্যের সকল ১৮-বছর বয়সী যুবকদের বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সেবায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
রিশি সুনাকের জাতীয় সেবা পরিকল্পনা দুটি বিকল্প প্রদান করে: পূর্ণকালীন ১২-মাসের সামরিক সেবা বা সাইবার ডিফেন্সে অংশগ্রহণ। প্রতি বছর ২৫ দিন করে কমিউনিটি সেবা। এই সেবার মধ্যে এনএইচএস বা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সাথে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এই প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। প্রথমে, পুরো এক বছরের সেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরে এটি শুধুমাত্র প্রতি বছর ২৫ দিনের সেবার প্রস্তাব হিসেবে স্পষ্ট করা হয়। এই পরিবর্তনটি প্রস্তাবটির বাস্তবায়ন এবং স্পষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রিশি সুনাকের প্রস্তাব অনুযায়ী, যারা জাতীয় সেবায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আর্থিক পরিষেবায় সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো যুবকদের জাতীয় সেবায় অংশগ্রহণে বাধ্য করা।
এটি একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে, যা নৈতিক এবং বাস্তবিক দিক থেকে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ যুবকদের গতিশীলতা এবং আর্থিক স্বাধীনতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
লেবার পার্টি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি এই প্রস্তাবনার সমালোচনা করেছে এবং এটি অপারিকল্পিত ও বিশৃঙ্খল বলে অভিহিত করেছে। লেবার পার্টির এক মুখপাত্র বলেছেন, “এটি টোরি পার্টির একটি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রস্তাবনা, যা তাদের সরকারের বিশৃঙ্খল এবং অপ্রচলিত নীতির একটি প্রতিফলন।”
রিশি সুনাকের এই প্রস্তাবনা নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। জাতীয় সেবার জন্য এই ধরনের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা এবং এর সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আর্থিক পরিষেবার সীমাবদ্ধতা আরোপের প্রস্তাবনা যুবকদের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং এটি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে।