বাংলাদেশ সচিবলায়ের ২০ তলা ভবন নির্মাণ কাজের জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায় ভবন নির্মণকাজ। এই কাজ তিনটি নির্মাণ সংস্থা যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০ তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিল জিকে শামীমের মালিকানাধীন জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড। কিন্তু বহুল আলোচিত ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জি কে শামীম গ্রেপ্তার হলে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে ডব্লিউ-২(এ) লটের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। এসবের মধ্যে চারটি রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টেকনিক্যাল এভালুয়েশন কমিটির (টিইসি) সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান- দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবং বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড যৌথভাবে সচিবালয়ে ২০ তলা ভবন নির্মাণ করবে।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত আছে। প্রকল্পের আওতায় দুটি বেসমেন্টসহ ২০ তলা সুপার স্ট্রাকচার বিশিষ্ট অফিস ভবন, বহিঃস্থ স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাদিসহ সীমানা প্রাচীর, গেট, সেন্ট্রি বক্স ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
এর আগে ভবনটি নির্মাণের জন্য জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের অনুকূলে ৩২৭ কোটি ২৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার নির্মাণ চুক্তি অনুমোদিত হয়। কিন্তু ঠিকাদার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের চুক্তি বাতিল হয়।
চুক্তি বাতিলের পর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ২২ জুলাই ঠিকাদার কর্তৃক সম্পাদিত কাজের পরিমাপ করা হয়। এতে জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডে কর্তৃক সম্পাদিত কাজের মূল্য ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০ তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ‘ কাজের ডব্লিউ-২(এ) লটের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়।