নিউজিল্যান্ড সফরে টানা দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। মঙ্গলবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫৯ বলের ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটের দাপুটে জয় পায় সফরকারীরা। এই জয়ে সিরিজে ২-১ পরাজয়ের ব্যবধান কমাল পাকিস্তান।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক শাদাব খান। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপসের চমৎকার ব্যাটিং নিউজিল্যান্ডকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেয়। চতুর্থ উইকেটে তারা স্কোর বোর্ডে ৫১ রান যোগ করেন। ৪৫ বলে কনওয়ে ৬৩ রান করেন। সাত বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে সাজিয়েছিলেন তিনি ইনিংস। আর ফিলিপসের সংগ্রহ ছিল ৩১ । ২০ বলে তিনি এ রান করেন।
এর আগে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ১৬ বলে ১৯ এবং টিম সেইফার্ট ২০ বলে ৩৫ রান করেন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দলকে হতাশ করেন। ৪ বলে মাত্র ১ রান করেন তিনি। তবে স্কট কুগেলেইন ছোট্ট কিন্তু ঝোড়ো এক ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করেন। ৬ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
পাকিস্তানের সফল বোলার ছিলেন ফাহিম আশরাফ। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। আর শাহীন আফ্রিদি ও হারিস রউফ দুটো করে উইকেট নেন। আফ্রিদির খরচ ছিল ৪৩ রান, আর রউফের খরচ ছিল ৪৪ রান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫.২ ওভারে ৪০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার হায়দার আলী(১১)। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৭২ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। আগের ম্যাচে ৫৭ বলে ১০ চার ও পাঁচটি ছক্কায় অপরাজিত ৯৯ রান করা হাফিজ, এদিন ফেরেন ২৯ বলে ৪১ রান করে।
হাফিজ আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যান রিজওয়ানকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। দলের হোয়াইটওয়াশ এড়াতে একাই লড়াই করে যান তিনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। জেমিসনের করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন ইফতেখার আহমেদ। পরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। তার আগে ৫৯ বলে ১০ চার ও তিন ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি। ওভারের পরের বলে কোনো রান নিতে পারেননি ইফতেখার। কিন্তু চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।