যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার দ্রুত নতুন জোট গঠনের কৌশল দেখে বিস্মিত হয়েছে। ডব্লিউএসজে রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়া ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে চীন, ভারত, তুরস্ক, ইরান এবং গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য দেশগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে।
রাশিয়া তার নতুন বৈদেশিক নীতি কৌশলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে তারা একটি বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, যা পশ্চিমা নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থার বিপরীতে দাঁড়ায়। এই নতুন কৌশল অনুসারে, রাশিয়া তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতিতে তার স্থান নিশ্চিত করতে চায়।
রাশিয়া চীনের সাথে তার সম্পর্ক গভীর করেছে, বিশেষ করে বাণিজ্য, শক্তি এবং সামরিক খাতে। এছাড়াও, ভারত, তুরস্ক এবং ইরানের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। এই দেশগুলির সাথে রাশিয়া বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করছে, যেমন জ্বালানি, অস্ত্র বিক্রি, নিরাপত্তা এবং শিক্ষা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার এই কৌশল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা এখন এই নতুন জোট গঠনের কৌশলের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন।
রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ করছে এবং নতুন সক্ষমতা তৈরি করছে, যেমন হাইপারসনিক মিসাইল। এই উন্নয়নগুলি রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার এই নতুন পদক্ষেপগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি রাশিয়ার এই নতুন কৌশলকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার নতুন জোট গঠনের কৌশল নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছে যে এই কৌশল ভবিষ্যতে ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।