বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ষড়যন্ত্রকারীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ‘মামুনুল হকরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছে, তাই তাদের রুখে দিতে হবে।’ এছাড়া হেফাজত ইসলাম কে ইঙ্গিত করে বলেন, হেফাজত আর হেফাত নাই’ তারা এখন জামায়াত হয়ে গেছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরে জেলা যুবলীগের আয়োজনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভাস্কর্য নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের যুবলীগ রুখে দিবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরাও ধর্ম পালন করি, আমার মা-বাবাও ধর্মপালন করে। কিন্ত মামুনুল হকরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচেছন। তারা এতোদিন চট্টগ্রামে যে জিয়ার ভাস্কর্য আছে তা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করে নাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে ভাস্কর্য আছে ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা স্বাধীন পতাকা পেয়েছি, দেশ পেয়েছি, পাসপোর্ট পেয়েছি তাই সারা দেশেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবে, মামুন হকদের চ্যালেঞ্জ পারলে ঠেকাও।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে নিক্সন বলেন, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরস এর নির্দেশনায় যুবলীগকে সংগঠিত করা হবে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যুবলীগের কমিটি হবে দেখার মতো। বিপরীতে যারা পদের জন্য তদবির করছেন তারা তদবির বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কাজ করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
এ ছাড়া যারা পদের জন্য মাস্তানি ও এমপি-মন্ত্রীদের নিকট সুপারিশের তকদির করছেন তাতে কোন লাভ হবে না। যুবলীগ শেখ মনির স্বপ্নের ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অতীতের দিকে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।
এর আগে স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগের কমিটিতে লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় সংবর্ধিত হন জেলারকৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, উপ-পরিবেশ বিষয় সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা শানজিদা শারমিন, সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী রিগ্যান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, কার্য নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মো. শোওকত হায়াত, সদস্য এ,বি,এম শেখ ফরিদ উদ্দিন, সদস্য আশফাক আহাম্মেদ চৌধুরী, সদস্য জহিরুল আমিন জহির।
জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু প্রমুখ।