1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
শিরোনাম :
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে হয়ে গেল স্ট্রাইকারস কাপ-২০২৩ বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের উদ্যোগে ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান মূল বেতনের ৫ শতাংশ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা মালয়েশিয়ার রাজা এবং প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আম উপহার বিকেলে বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্র্রেরণের আহবান : হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার মালয়শিয়ায় বারফোম কতৃর্ক পহেলা বৈশাখ এবং ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আবদুল হামিদকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাজসিক বিদায় ও সাহাবুদ্দিনকে বরণে প্রস্তুত বঙ্গভবন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালয়েশিয়ার জহুর বাহরু শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ নিয়ে দূতাবাসের জরুরি নোটিশ




করোনাভাইরাস থেকে ভয়ংকর মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা

স্টার মেইল ডেস্ক:
  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

নতুনরূপী করোনা নিয়ে সারা বিশ্ব এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তার মধ্যেই আবার নতুন করে আমেরিকায় বিপদ হাজির হয়েছে সেখানে। মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার প্রকোপ বাড়ছে সেথানে। জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, দূষিত পানি থেকে ছড়াচ্ছে এই অ্যামিবা।

আমেরিকার দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে এই অ্যামিবার প্রকোপ শুরু হয়েছিল। এখন উত্তরের রাজ্যগুলোতেও এই অ্যামিবার উৎপাতে চিন্তিত প্রশাসন। সম্প্রতি টেক্সাসের শিশুটির মস্তিষ্কে যে অ্যামিবা পাওয়া গেছে তাকে বলে মগজ খেকো অ্যামিবা। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম নাইগ্লেরিয়া ফোলেরি বা অ্যামিবা।

এই অ্যামিবা এক ধরনের এককোষী প্রাণী। খালি চোখে দেখা যায় না এই প্রাণীকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যামিবা হলো থার্মোফিলিক, উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম পানিতে এই প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সাধারণত পরিষ্কার জলেই অ্যামিবার বাস। পানির উষ্ণতা যত বাড়বে অ্যামিবার সংখ্যাও ততই বৃদ্ধি পাবে।

শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত পানিতেও দেখা মেলে এদের। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ পানিতে দ্রুত ছড়ায় মগজ-খেকো অ্যামিবারা। এসব অ্যামিবা সাধারণত গরম পানির ঝিল, মাটি বা গরম জলধারায় থাকে। দূষিত পানি পান করলেই কারও শরীরে এই অ্যামিবা প্রবেশ করতে পারে না।

২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আমেরিকায় ৩৪ জন এই ঘাতক অ্যামিবার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ১৯৬২ থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় ১৪৫ জনের শরীরে অ্যামিবা প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকি সবাই মারা গিয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হ্রদে গোসল করার সময় সাধারণত এই অ্যামিবার শিকার হতে পারেন যে কেউ। এই অ্যামিবা সরাসরি মস্তিস্কে আঘাত করে। নাক দিয়ে প্রবেশ করে সোজা মগজে হানা দেয় এই প্রাণী। যে সব হ্রদের পানি সাধারণত পরিষ্কার করা হয় না সেখানেই থাকে এই প্রাণী। এমনকি ফ্যাক্টরি থেকে নিষ্কাশিত গরম পানিতেও এই প্রাণীর দেখা মেলে।

উল্লেখ্য, নাইগ্লেরিয়া ফোলেরির বৈশিষ্ট্য হলো এই এককোষী প্রাণী নাক দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। তারপর স্নায়ুকোষকে টার্গেট করে। কোষ বিভাজন ঘটিয়ে সংখ্যায় বেড়ে স্নায়ুকোষের দফারফা করে দেয়।

প্রচণ্ড সংক্রামক এবং দ্রুত কোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই এককোষী প্রাণী। দ্রুত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ না দিলে মস্তিষ্কের কোষ ছিঁড়েখুঁড়ে দেয় এই প্রাণীরা। এই সংক্রমণে যে রোগ হয় তাকে বলে নাইগ্লেরিয়াসিস বা প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফেলাইটিস। এর উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশির খিঁচুনি, হাইপারথারমিয়া, হ্যালুসিনেশন।




আরো পড়ুন