1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
  3. sayeed.fx@gmail.com : Md Sayeeduzzaman : Md Sayeeduzzaman
শিরোনাম :
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধিতে দেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য: সিইসি যুক্তরাষ্ট্রের নদীতে বাংলাদেশি জাহাজ থেকে ৪ ক্রু নিখোঁজ মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবনধসে নিহত ৩ বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত , হাইকমিশনের শোক বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব : ইইউ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন বিসিবির গাজায় বোমার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে পরিণতি ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ কার্যকর নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ঢাকা পৌঁছেছেন ইইউ




৪০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ‘হালাল’ বলে গরুর মাংসের বদলে ঘোড়া ও ক্যাঙ্গারুর মাংস বিক্রি!

স্টার মেইল ডেস্ক:
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

গত ৪০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ‘হালাল’ বলে গরুর মাংসের বদলে ঘোড়া ও ক্যাঙ্গারুর মাংস বিক্রি করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে তাদের এই প্রতারনার চিত্র তুলে ধরেছে মালয়েশিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রাটিস টাইমস। এই ঘটনায় মালয়েশিয়া জুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চক্রটি কানাডা, কলম্বিয়া, ইউক্রেন, উরুগুয়ে, স্পেন এবং মেক্সিকোর মতো দেশ থেকে মাংস আমদানি করে। যেসব প্রতিষ্ঠান এই মাংস পাঠায় তাদের কারোরই এই সংক্রান্ত অনুমোদন নেই। তারা হালাল প্রত্যয়িত কসাইখানা ও উৎপাদনকারীদের থেকে ৫০ শতাংশ কম দামে মাংস বিক্রি করে থাকে। মালয়েশিয়ায় ‘হালাল’ প্রশংসাপত্র দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট মালয়েশিয়া (জেএকেআইএম) এবং ভেটেরিনারি সার্ভিসেস বিভাগ (ডিভিএস)।

বিষয়টি তারাও উপেক্ষা করে এসেছে। এসব মাংস হালাল সার্টিফিকেট পাওয়া মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, সেখানে হালাল বলে গরুর মাংসের সাথে মিশিয়ে ক্যাঙ্গারুর ও ঘোড়ার মাংসও বিক্রি করা হচ্ছিল। আবার তারা যে গরুর মাংস আমদানি করত তা নিম্নমানের এবং প্রায়শই অসুস্থ গরুর হওয়ায় কম দামে পাওয়া যেত।

নিউ স্ট্রাটিস টাইমস জানিয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী কর্মকর্তারা এসব বন্দর থেকে এসব মাংস ছাড় দিতে ৩৬ থেকে ৭৩৮ ডলার ঘুষ নিতো। গ্রাউন্ডে অফিসারদের দেয়া তথ্যমতে, প্রতিটি কন্টেইনার ছাড় করতে ৩৬ থেকে ১২৩ মার্কিন ডলার দিতে হতো। কিছু ক্ষেত্রে অফিসারদের জন্য নারীদেরকেও পাঠানো হতো। শুল্ক ফাঁকি এবং হালাল-প্রশংসাপত্র পেতে জড়িত ব্যয়গুলো এড়ানোর মাধ্যমে চক্রটি বড় অংকের মুনাফা করতো। তাদের এই কার্যক্রম গত ৪০ বছর ধরে চলে আসছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে মালয়েশিয়ার কোয়ারেন্টিন ও পরিদর্শন পরিষেবা বিভাগ (এমএকিউআইএস), মালয়েশিয়ার শুল্ক বিভাগ এবং বন্দর পুলিশকে মালয়েশিয়ার বন্দরে প্রবেশকারী পণ্যগুলো ভোক্তাদের কাছে না যাওয়ার আগে পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কুয়ালালামপুরের মাংস ব্যবসায়ী ও হকার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের সদস্যদেকে অস্থায়ীভাবে গরুর মাংস ভিত্তিক পণ্য বিক্রি করা বন্ধ রাখতে বলেছে। সূত্র: ম্যাশাবল এশিয়া।

 




আরো পড়ুন