1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
শিরোনাম :
জাতিসংঘ ভবনে ২৫শে মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা’ দিবসের দাবিতে প্রত্যয় ব্যক্ত কপিলমুনি কলেজে খায়রুলের নেতৃত্বে বাড়ছে ছাত্রলীগের কর্মী বান্দরবানে তিনজনকে তুলে নিয়ে গেছে কেএনএফ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দুতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উদ্বোধন হলো প্রথম বাংলাদেশী স্পোর্টস ক্লাব টাইগারস আম মাইন আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আলমগীর এবং সেক্রেটারি আরিজ মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপন সার্কের মহাসচিব হচ্ছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার ঢাকায় পা রেখেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে , কমেছে নতুন শনাক্ত




রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে শেখ হাসিনার জনসভায় কানায় কানায় পূর্ণ

স্টার মেইল ডেস্ক:
  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আর এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা শুরু হবে। এদিকে জনসভা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে বেলা সাড়ে ১০টার মধ্যেই নেতাকর্মীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ। এ সময়ের পর জনসভার দিকে আসা নেতাকর্মীরা আর মাঠের ভেতরে ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে। তাই নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জনস্রোত ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতে।

এর আগে সকাল থেকে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে রয়েছে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। দুপুর ১২টার মধ্যে রাজশাহী পরিণত হয় মিছিলেন নগরীতে।

মাদ্রাসা মাঠ ও চারপাশের এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। সাড়ে ১০টার মধ্যে সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নেতাকর্মীরা পাশের ঐতিহাসিক শাহ মখদুম (রহ.) ঈদগাহ মাঠে জড়ো হন। বেলা ১১টার মধ্যে ঈদগাহ মাঠও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে জনসভাস্থলে আসা জনতার ঢল মাদ্রাসা মাঠ ও ঈদগাহ ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ঘোষপাড়া মোড়, সিঅ্যান্ডবি মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়সহ আশপাশের সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিক হোসেন মুন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কালবেলাকে বলেন, ‘আমি একজন নেতা মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি। আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও আগামী নির্বাচন নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক মূল্যবান বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, তা অকল্পনীয়। প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবেসে তার কথা শুনতে রাজশাহীতে জনতার ঢল নেমেছে। আমরা উন্নয়নের রূপকার জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য পুত্র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরও বেগবান করে রাজশাহীকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে যাই।’

নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে নাটোর থেকে ১০ হাজার নেতাকর্মী রাজশাহীর ঐতিহাসিক জনসভায় এসেছেন। আমরা পৌঁছে দেখি মাদ্রাসা মাঠ ও ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ। তাই বাধ্য হয়ে ঈদগাহ মাঠের রাস্তায় ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যবান ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

এদিকে সকালেই রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করেছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলাসহ বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশের এলাকার ছুটছেন। এলাকা ভেদে বিভিন্ন রঙের শার্ট, টি-শার্ট ও টুপি পরে নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তারা জনসভাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন।

আর নেতাকর্মীদের একের পর এক স্লোগানে মাদ্রাসা মাঠের আশপাশের এলাকা মুখর হয়ে উঠেছে। জনসভাস্থল ছাড়াও রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ‘আমরা প্রচারে বলেছিলাম, রাজশাহীর এ জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। দুপুর না গড়াতেই উপস্থিত জনতা সারা দেশের মানুষকে তা জানান দিয়েছে। এরই মধ্যে পুরো রাজশাহী নগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী। তার কোনোকিছু চাওয়ার নেই। একটাই চাওয়া—জনগণের উন্নয়ন এবং তিনি তা করে দেখিয়েছেন। তাই রাজশাহীবাসী তাকে ভালোবেসে বিশাল জনসমুদ্র তৈরি করে তাকে ‘সারপ্রাইজ’ দিতে এসেছে।’

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের ভিড়ে মাঠে তিল ধারণে ঠাঁই নেই। পাশের ঈদগাহ মাঠেও একই অবস্থা। আশা করছি, বিকেল ৩টা নাগাদ পুরো রাজশাহী মহানগরীতে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না। বিভাগের আট জেলা থেকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দেবেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে জনসভাস্থলে গণসংগীত শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে জনসভা। স্থানীয় নেতারা ভাষণ দিচ্ছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠেছেন।’

এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। সেখানে কর্মসূচি শেষে দুপুরে মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গত শুক্রবার মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং তথ্যমন্ত্রী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগর এলাকায় কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। গত বুধবার দুপুরে আরএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল আলমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনসভাকে কেন্দ্র করে ২৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৩০ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র বহন, আতশবাজি, পটকা ফুটানো, বিস্ফোরকদ্রব্য বহন, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার এবং অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, যে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য যেমন—দেশি-বিদেশি মদ, স্পিরিট/অ্যালকোহলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব অনুমোদিত বার, মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র এ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়।




আরো পড়ুন