মানবপাচার বন্ধ করতে হলে প্রত্যেকটা ভিসার বিপরীতে বিদেশে অভিবাসীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত ১০ টায় :- শাহারিয়ার তারেকের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ প্রসক্লাব অব মালয়েশিয়ার ফেসবুক পেইজের নিয়মিত আয়োজন “মালয়েশিয়ায় নতুন করে বৈধতা ও ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের বাস্তবতা” শির্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় আলোচকরা এ দাবি তুলেন।
এ ছাড়া অভিবাসীদের দালালদের প্রতারণা থেকে সুরক্ষায় নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এবং বৈধ কোম্পানিতে শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে। যাতে প্রত্যেক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশের মাটিতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি ,বেতন, আবাসন ও বীমা সুবিধা পায় এবং নিয়োগকারী কোন কোম্পানি অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় প্রতিকার বিধান করতে হবে।
অন্যদিকে আলোচকরা আরও বলেন মালয়েশিয়া সরকার যে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে এই প্রক্রিয়া খুবই সহজ যা সরাসরি ইমিগ্রেশনের তত্বাবধানে, তাই প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। যদি কোন ধরনের সন্দেহ বা সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা নিতে প্রবাসীদের আহ্ববান জানানো হয়।
এসময় ভার্চুয়াল প্রোগামে সংযুক্ত ছিলেন হেড অব ডিজিটাল মিডিয়া, চ্যানেল ২৪ ও দৈনিক সমকালের রাজীব খান, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার সভাপতি মনির বিন আমজাদ, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার ফারুক হোসাইন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের স্টাফ রিপোর্টার একেএম কামাল উদ্দীন চৌধুরী, মালয়েশিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আহমাদুল কবির।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় গত বছরের মার্চ মাস থেকেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সাথে সাথে তা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় অনেকেই ছুটিতে গিয়ে আর ফিরে আসতে পারেননি কর্মস্থলে।
অন্যদিকে ছুটিতে থাকা প্রবাসীরা জানেন না কবে তারা কর্মস্থলে আসতে পারবেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে দু, দেশের সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।