শক্তিশালী আবাহনী লিমিটেডকে রুখে দিতে পারল না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফেডারেশন কাপ ফুটবলে দুই দলের খেলায় সাদা-কালো শিবির পাত্তাই পায়নি আকাশি-নীলদের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের হয়ে দুটি গোল করেছেন জুয়েল রানা। অপর গোলটি পেয়েছেন মাসিহ সিয়াঘানি। দারুণ দুটি লম্বা থ্রো করে দুটি গোলের কারিগর ছিলেন রায়হান হাসান।
ম্যাচের শুরুতে থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আবাহনী। মোহামেডান শিবিরে বেশ চাপ সৃষ্টি করে তারা। তবে গোল করার প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল মোহামেডানই। দশম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়েও জোরালো শট নিতে পারেননি সুলেমানি দিবাতে। আট মিনিট পর আরও একটি সুযোগ ছিল তার। কিন্তু এবার লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি তিনি।
২৬তম মিনিটে আবাহনীর রায়হান হাসানের ‘ট্রেডমার্ক’ লম্বা থ্রোয়ে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায় বাইরে। ২৯তম মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের পাসে শাহেদ মিয়া শট নিতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের। দুই মিনিট পর জুয়েলের নিচু ক্রসে বেলফোর্টের শট জমে যায় গোলরক্ষক সুজন হোসেনের গ্লাভসে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকের দুই গোলে মোহামেডানকে কোণঠাসা করে ফেলে আবাহনী। ৪১তম মিনিটে রায়হানের থ্রোয়ে আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার সাইঘানির হেড জালে জড়ায়। চার মিনিট পর নাবীব নেওয়াজ জীবনের চিপে সাইঘানি বাইসাইকেল কিক নেওয়ার পর হেডে জাল খুঁজে নেন জুয়েল।
৫৩তম মিনিটের গোলে মোহামেডানের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা কঠিন হয়ে যায় আরও। বাঁ দিক থেকে রায়হানের থ্রোয়ে বেলফোর্ট মাথা ছোঁয়ানোর পর দূরের পোস্টে থাকা জুয়েল নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকে মোহামেডান সমর্থকদের হতাশা। ৬২তম মিনিটে সোহানুর রহমানের শট পোস্টের বাইরে যায়। বাকিটা সময়ে মোহামেডান পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে; বড় হার দিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করল প্রতিযোগিতার ১০বারের চ্যাম্পিয়নরা।
আবাহনী-মোহামেডান লড়াইয়ের শেষটি হয়েছিল চলতি বছরের ৪ মার্চ। প্রিমিয়ার লিগের সে ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছিল আবাহনী।