ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিধসে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার রাতে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পাহাড়ি অঞ্চল তানা তরাজায় ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে। ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আলজাজিরা।
বৈরী আবহাওয়া ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঠিকমতো উদ্ধারকাজ চালানো যাচ্ছে না। তবে এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে ধসে যাওয়া এলাকায় প্রাণে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তানা তরাজা ও এর আশপাশের এলাকায় গত সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ ভূমিধস ঘটে বলে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রধান গুনার্দি মুন্দু বলেন, শনিবার মধ্যরাতের কিছু সময় আগে গ্রামের একটি ঘরে পারিবারিক আয়োজন চলছিল। এসময় পাহাড় থেকে ধসে আসা কাদামাটিতে গ্রামের কিছু অংশ একদম চাপা পড়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, অতি বৃষ্টির কারণে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসে তানা তরাজা এলাকার দুটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও চারটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্যোগ আক্রান্ত ওই এলাকাটি পাহাড়ি হওয়ার কারণে উদ্ধারকারীদের সেখানে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে প্রাণের সন্ধানে বিশেষ পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান সুলায়মান মাইলা রোববার এএফপি এজেন্সিকে জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় মোট ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উদ্ধার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, দুর্যোগ আক্রান্ত ওই এলাকাটি পাহাড়ি হওয়ার কারণে উদ্ধারকারীদের সেখানে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে প্রাণের সন্ধানে বিশেষ পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানুয়ারি থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। এর মধ্যে গত মাসে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।