ইরাকি পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) এর সৈন্যরা সম্প্রতি লেবাননের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং হিজবুল্লাহতে যোগদান করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক এবং সামরিক অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে, ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাজার হাজার যোদ্ধা লেবাননে হিজবুল্লাহর পাশে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। লেবানন এবং ইসরায়েলের সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় হচ্ছে। সম্প্রতি একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন যে “ইরান, ইরাক, সিরিয়া, এবং ইয়েমেনের মতো দেশগুলির মিলিট্যান্ট নেতারা হিজবুল্লাহকে সাহায্য করার জন্য লড়াই করার প্রস্তাব দিয়েছেন।” নাসরাল্লাহর মতে, “হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত জনশক্তি রয়েছে, তবে যুদ্ধের বিস্তৃতি বাড়লে বাহ্যিক সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।”
লেবাননে ইতিমধ্যে স্থাপিত ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা সহজেই লেবাননে প্রবেশ করতে পারে এবং হিজবুল্লাহর সাথে যোগ দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে আরও বিপন্ন করতে পারে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও সম্ভাব্য বহিরাগত যোদ্ধাদের আগমনের বিষয়ে সতর্ক করেছেন এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন।
ইরাকি পিএমএফ সৈন্যদের লেবাননে যাত্রা এবং হিজবুল্লাহতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান রাজনৈতিক এবং সামরিক অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলছে। এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে।