ইরাকের সংসদে একটি বিতর্কিত বিল প্রস্তাব করা হয়েছে যা মেয়েদের বৈধ বিয়ের বয়স কমিয়ে ৯ বছরে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে ইরাকে মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ১৫ বছর। এই নতুন প্রস্তাবিত আইন নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিলটি প্রস্তাব করার পর থেকেই ইরাকের বিভিন্ন অংশে সমালোচনা এবং বিরোধিতা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন, সমাজকর্মী এবং সাধারণ জনগণ এই প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তারা মনে করেন, এটি মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে, ৯ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া শিশুদের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, এই বিলটি পাস না করা হয় এবং মেয়েদের সুরক্ষা ও শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়া হয়।
বিলটির সমর্থকরা দাবি করেছেন, এটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন এবং ধর্মীয় নিয়ম অনুসরণ করার একটি প্রচেষ্টা। তাদের মতে, এই আইন মেয়েদের ও তাদের পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আন্তর্জাতিক মহলেও এই বিলটি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি ইরাক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, তারা যেন শিশুদের অধিকার রক্ষা করে এবং এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরো সাবধানতা অবলম্বন করে।
ইরাকের সংসদে প্রস্তাবিত এই বিলটি নিয়ে দেশজুড়ে ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও সংগঠন এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এবং সরকারের প্রতি এই প্রস্তাবনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।