“ইরান সর্ব শক্তি ব্যবহার করে ইসরায়েলে হামলা করেছে, পুনরায় এমন হামলা চালানোর ক্ষমতা নাই ইরানের।” বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার কমান্ডের সাবেক প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে ইরান ইসরায়েলে হামলা করে। এই হামলায় ইরান ৪০০ এর বেশী ড্রোন, কুর্জ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার কমান্ডের এই সাবেক প্রধান আরো বলেন, এটি ইরানের একটি বড় হামলা ছিল। আমি মনে করি এটি একটি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার হামলা ছিল। ইরানের বিভিন্ন ধরনের ৩০০০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মোতায়েন করা আছে। তাদের কাছে সম্ভবত প্রায় ১০০ টি বা তার থেকে একটু বেশি মিসাইল রয়েছে। যা মূলত পশ্চিম ইরানে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মোতায়েন করা হয়েছে।
ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি আরো বলেন, আমার বিশ্বাস যে ইরান তাদের সক্ষমতার বেশিরভাগ অস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছে। ইসরায়েলে বেশিরভাগ আটকাতে সফল হয়েছে। ইরান যে শক্তি দিয়ে হামলা চালিয়েছে। পুনরায় এমন হামলা করতে পারবে না। ইরান এই হামলায় ড্রোন, কুর্জ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলিদের আক্রমণ করে হতাহত করার চেষ্টা করে।
এটি তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিল। এখন ইরানীরা পিছিয়ে যাচ্ছে এবং মধ্যপন্থা অবলম্বন করে কথা বলছে। এটা ছিল নির্বিচার এবং একটি বড় হতাহত হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমি মনে করি ইসরায়েলিরা দুর্দান্ত ভাবে পারফর্ম করেছে, আমাদের সহায়তায় এবং যুক্তরাজ্য, জর্ডান, ফ্রান্স সহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ গুলির সহায়তায়।
ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি আরো বলেন, আমি মনে করি যে ইরানীদের এখন বসে থাকতে হবে এবং বিবেচনা করতে হবে। কারণ তারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই পরিক্ষায় তারা ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এবং ইরান তুলনামূলকভাবে দুর্বল।”