হামলার ৭২ ঘণ্টা আগে প্রতিবেশী একাধিক দেশ ও ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে নোটিশ দিয়েছিল তেহরান বলে জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান।
রোববার (১৪ এপ্রিল) আমির আবদোল্লাহিয়ানের দাবিকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক, জর্ডান ও ইরাকের কর্মকর্তারা। তবে এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়াশিংটনকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি তেহরান। ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি রাষ্ট্রটির উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন।
এর আগে সিরিয়ায় গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পড়ার আগেই ভূপাতিত করা হয়। যদিও এক মেয়েশিশু গুরুতর আহত হয়। এমন বাস্তবতায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার শঙ্কা দিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান রোববার বলেন, হামলার ৭২ ঘণ্টা আগে প্রতিবেশী একাধিক দেশ ও ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে নোটিশ দিয়েছিল তেহরান।
এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার আগে ওয়াশিংটন ও তেহরানে সঙ্গে কথা বলেছে আঙ্কারা।
তুরস্ক আরও বলেছে, ইরানের প্রতিক্রিয়া যেন আনুপাতিক হয়, তা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে দুই মহাদেশ বিস্তৃত দেশটি।
ইরানের বরাত দিয়ে তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কে তাদের দূতাবাসে হামলার জবাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে এবং এটি এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না। আমরা (হামলার) সম্ভাবনার বিষয়ে সজাগ ছিলাম। সর্বশেষ ঘটনাগুলো অবাক হওয়ার মতো কিছু নয় বলেও ওই প্রতিক্রিয়ায় দাবি করা হয়। বলে তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদোল্লাহিয়ানের বিবৃতি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সুইজারল্যান্ডের মাধ্যমে তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে আমেরিকা, তবে হামলার ৭২ ঘণ্টা আগে কোনো নোটিশ পায়নি।
নোটিশের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটা একেবারেই সত্য নয়।’