এবারের বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সময়টা খারাপ যাচ্ছে বললে হয়তো কমই বলা হবে। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে আসা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল ব্যর্থ হওয়ায় সাদা বলের দল ঢেলে সাজায় ইংলিশরা, কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বিশ্বকাপের পর ক্যারিবীয় মাটিতে ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারতে হলো জস বাটলার-আদিল রশীদদের।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামে জস বাটলারের দল। ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-০ থেকে ২-২ করা ইংলিশদের সামনে আজ সুযোগ ছিল সিরিজ জয় করার। তবে দুই বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতি ও আকিল হোসেনের ঘূর্ণিতে স্বল্প রানে গুটিয়ে সেই সুযোগের সমাপ্তি ঘটে।
তাদের দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১৩২ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হার চোখ রাঙাচ্ছিল। তবে শাই হোপের সৌজন্যে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবিয়ানরা।
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জয়ের পরই সিরিজ জয়ের দুয়ারে চলে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ জমিয়ে তোলে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত সফরকারীদের ৩-২ ব্যবধানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের পর ইংল্যান্ডকে হারাল তারা, তাই বিশ্বকাপ না খেললেও বছরটি যে খুব খারাপ কেটেছে ক্যারিবীয়দের তা বলা যায় না।
ত্রিনিদাদে ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের জয় এনে দিয়েছে মূলত মোতি ও আকিল। তাদের সম্মিলিত ৮ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট আসে। মোতি নেন ৩ উইকেট, আকিলের শিকার দুটি। রান তাড়ায় ৪৩ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান হোপ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড প্রথম ধাক্কা খায় চতুর্থ ওভারে, জেসন হোল্ডারকে স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে জস বাটলার ধরা পড়েন। উইল জ্যাকস এই দিনও হয়েছেন ব্যর্থ। এরপরও পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তারা ৫০ রান তোলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফিল সল্টের সৌজন্যে। তবে পাওয়ারপ্লের পরের ওভারে মোতিকে ছক্কা মারার ঠিক পরের বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন আগের দুই ম্যাচে শতক পাওয়া এই ওপেনার। ২২ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।
হ্যারি ব্রুকও ফেরার পর লিয়াম লিভিংস্টোন ও মঈন আলীর জুটি মাঝে একটা ভিত এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইংল্যান্ডকে, কিন্তু অসময়েই থামেন তারা। শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে ১৩২ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
তবে অল্প পুঁজি নিয়েও ইংলিশ বোলাররা ঠিকই লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন। রিস টপলি ও আদিল রশিদের বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখে জস বাটলারের দল। বাঁহাতি পেসার টপলি ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার রশিদ মিলে ৮ ওভারে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে ব্র্যান্ডন কিং ও নিকোলাস পুরানের পর মাঝের ওভারে জনসন চার্লস ও শেরফ্যান রাদারফোর্ডকে হারায় স্বাগতিকরা। কিন্তু হোপকে টলাতে পারেনি ইংল্যান্ড।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রাসেলকে থামিয়ে ইংল্যান্ডকে আরেকবার আশা দিয়েছিলেন বটে স্যাম কারেন। কিন্তু পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিস ওকসকে ছক্কা মেরে হোপ নিশ্চিত করেন, ৫০ ওভারের পর ২০ ওভারের সিরিজও হচ্ছে তাদেরই।