আবারও কমতে শুরু করেছে দেশের তাপমাত্রা। ফলে ক্রমশ বাড়ছে শীতের প্রকোপ। যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস জানায়, দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা কমেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। কুয়াশার এই আধিপত্য সোমবার থেকে দূর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্থলভাগ থেকে এক হাজার ৫০০ কিলোমিটারের মতো দক্ষিণে রয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এসময় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে সামান্য। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী অঞ্চল) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো পাবনার ঈশ্বরদীতে। এর আগে শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালের দিকে ঢাকার আকাশ ছিলো কুয়াশাচ্ছন্ন। বেলা ১১টার পর কুয়াশা কেটে রোদের দেখা মেলে। তবে ঘন কুয়াশা রয়েছে উত্তরাঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলেও।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো টেকনাফে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।