গাজার মাওয়াসিতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাবু শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিহতদের অনেকেই নিকটবর্তী খান ইউনিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী মাওয়াসিতে অবস্থিত একটি তাবু শিবিরে হামলা চালায়, যেখানে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছিল। এই হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। তবে, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে বলে সমালোচকরা মনে করছেন।
জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “এটি একটি মানবিক বিপর্যয় এবং এই ধরনের হামলা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত হস্তক্ষেপ করা এবং সংঘর্ষের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় অনেক মানুষ আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা জানিয়েছে, “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, “নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে।”
গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে প্রতিদিনই নতুন নতুন হামলার খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এবং সংঘর্ষের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।