1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
ছাত্রী মেসে আপত্তিকর অবস্থায় ইবি ছাত্র - starmail24
শিরোনাম :
শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা মনে করে না অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে : রিজভী বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বাবা-ছেলের প্রাণ গেল দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ, হাইকোর্টের সামনে শিক্ষার্থীরা ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির‌ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জার্মানিতে প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শারদীয় দূর্গা উৎসব মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি ৭ দিনের রিমান্ডে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি




ছাত্রী মেসে আপত্তিকর অবস্থায় ইবি ছাত্র

স্টার মেইল, ইবি
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২

ছাত্রী মেসে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্র। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ত্বকী প্যালেসের পাশে এক ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার উপস্থিতিতে ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ছাত্র ও ছাত্রী সহপাঠী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাতে মেয়েটির জন্মদিন পালন করতে ছাত্রীমেসে ছেলেটি প্রবেশ করেন। ভবনের তৃতীয় তলায় জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা মেসে প্রবেশ করে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এ সময় ছাত্রটি কৌশলে বের হয়ে মেসের ছাদ থেকে ত্বকী প্যালেসের ছাদে লাফ দেন। পরে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তাকে ছাদ থেকে নিচে নামানো হয়।

এরপরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান ও হোসাইন মজুমদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকতাও অবস্থান করতেন। পরে সেই কর্মকর্তা, বাড়িওয়ালা মোজাম্মেল, ছাত্রলীগ নেতারা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মেসগুলোতে এ ধরনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। তবে হাতেনাতে কাউকে সেভাবে ধরতে পারেনি। মেসগুলোতে নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি না থাকায় তারা অবাধে মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রায়ই ছেলেদের মেয়েদের মেসের সামনে রাত ১১টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর দাবি, এলাকার মেসগুলোতে এ ধরনের অশ্লীল কর্মকাণ্ড না ঘটুক। প্রতিটি মেসে প্রবেশের নির্দিষ্ট নিয়ম থাকা দরকার।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে বাসা মালিক ও স্থানীয় লোকজন এসব বিষয় নিয়ে মিটিংয়ে বসবে বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রবেশের নিয়ম থাকলেও অনেক ছাত্রী রাতের বেলা হলের বাইরে ঘোরাফেরা করেন বলে জানা গেছে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হলের বাইরে ঘোরাফেরা করে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে আসা বাসে থাকা অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে তারা হলে প্রবেশ করেন। কিন্তু মেসগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিয়ম নেই। প্রান্তিক এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের কারণে এ সময়টাতে এসব ছাত্রীদের সঙ্গে যেকোনো অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি সকালেই বিষয়টি জানলাম। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন ছাত্র এভাবে রাতের বেলা মেয়েদের মেসে যাওয়াটা খুবই আপত্তিকর। এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তারপরও আমরা মেস মালিকদের সঙ্গে কথা বলবো যেন মেসগুলোতে একটু কঠোর নীতিমালা অবলম্বন করে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সন্ধ্যার পর থেকে প্রক্টরিয়াল বডির তদারকি আরও বৃদ্ধি করবো যাতে করে সন্ধ্যার পর কোনো ছাত্রী হলের বাইরে অবস্থান না করতে পারে।




আরো পড়ুন