বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে দলটির সমাবেশে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য শুরু করলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
এ সময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানুল্লাহ আমান ও হাবিবুন্নবী খান সোহেলকে নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়ে যান। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে, তারা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিএনপির সমাবেশের শেষদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করার পর বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। ১৫/২০ মিনিট ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলার পর সটকে পড়েন তারা।
এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ বিএনপির সমাবেশে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় সিনিয়র নেতাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, এ ঘটনার পর প্রেসক্লাব এলাকার পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই এলাকায় প্রচুর পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।