ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ১১৩ রানে পিছিয়ে আছে মুমিনুলরা।
১০৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম ভালোই খেলছিলেন। চার মেরেই তৃতীয় দিনে রানের খাতা খুলেছিলেন মিঠুন। সকালে ওভারপ্রতি রান রেটটাও ভালো ছিলো। কিন্তু সেশনের শেষটা মনমতো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাতা ফাঁদে পা দেন মিঠুন। কর্নওয়ালের বলে ব্রাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দিয়ে সমাপ্তি ঘটে তার ধৈর্যশীল ইনিংসের। তিনি করে ৮৬ বলে ১৫ রান।
১৪২ রানে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারানোর পরে মাঠে নামেন লিটন দাস। তিনি শুরুতেই ভুল করে বসেন। তবে ভাগ্যের জোরে রান আউট থেকে বেঁচে যান। কিন্তু রক্ষা হয়নি মুশফিকুর রহিমের। অর্ধশতক হাঁকানোর পরে আউট হন তিনিও। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে না পেরে কাইল মেয়ার্সের তালুবন্দী হন। ফেরার আগে করেন ১০৫ বলে ৫৪ রান। তার ইনিংসে ছিলো ৭টি চার।
বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারায় ১৫৫ রানে। মুশফিক ফেরার পরে লিটনের সাথে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের সাথে ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন লিটন। সেই সাথে নিজের ৭ম টেস্ট অর্ধশতক তুলে নেন টাইগার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। সেই সাথে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
লিটনের ফিফটির পর ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির স্বাদ পান মিরাজ। ৮৫তম ওভারে গ্যাব্রিয়েলের শেষ বল লেগ সাইডে দারুণ ফ্লিক করে ৩ রান আদায় করেন। তাতে পৌঁছে যান মাইলফলকে। ১১২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে হাফসেঞ্চুরি পান মিরাজ।
লিটন এবং মিরাজ ২৫৫ বলে ১২৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফরকারী বোলারদের তোপের মুখে জুটি আর বড় করতে পারেননি তারা। রাকিম কর্নওয়াল ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।
কর্নওয়ালের বলে ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দেয়ার সময় লিটন ছিলেন ৭১ রানে। তিনি ফেরার পর এসেই আউট হন নাঈম (০)। তাকেও ফেরান কর্নওয়াল। শেষ আশা মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন গ্যাব্রিয়েল। ১৪০ বলে ৫৭ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার কথা ২৯০ রানে। শেষ জুটিতে মিডউইকেটে দেয়া তাইজুল ইসলামের শিশুতোষ ক্যাচ ফেলেন ব্রাথওয়েট!
এর আগে মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ রানে অলআউট।