ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দিয়ে স্নাতক শেষ বর্ষ, স্নাতকোত্তরসহ সকল ধরণের পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এছাড়াও পরিক্ষার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিসহ পাঁচ নেতাকর্মী।বুধবার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে হলসমূহ বন্ধ রেখে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং পরীক্ষা নেয়াকে অমূলক, অযৌক্তিক এবং অমানবিক সিদ্ধান্ত বলছেন শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে ছয়টি প্রস্তাবনা উল্লেখ করা হয়। তাদের ৬টি প্রস্তাবনা হলো– আবাসিক হলগুলােকে বসবাসের উপযােগী এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করে খুলে দিতে হবে। সকল কোর্সের রিভিউ ক্লাস নিতে হবে যেন যারা অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি, তাদের প্রতি অবিচার না হয়।
‘একসাথে দুটো সেমিস্টার ফাইনাল লেয়া যাবে না। একটি সেমিস্টার শেষ করে পরবর্তী সেমিস্টারের প্রস্তুতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দিতে হবে। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে যাতায়াতের নিশ্চিত করতে হবে। যেসকল বিভাগের পরীক্ষার রুটিন ঘােষণা করা হয়েছে তা বাতিল করে পুনরায় তারিখ ঘােষণা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসের সকল কার্যক্রম অতিদ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান।
রাকিবুল হাসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতান্তই অমূলক, অযৌক্তিক এবং অমানবিক। আমরাও পরীক্ষার পক্ষে, তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই, হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তাহলে আমরাও আমাদের আন্দোলনে অনড় থাকব। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেবো।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক হাসান বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি পরীক্ষার বিরুদ্ধে না, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও না। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে এসেছি। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই, কিন্তু হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা আয়োজন করা কতোটা যৌক্তিক? যদি হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়া হয়, তাহলে অনেক শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তাদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।