1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন - starmail24
শিরোনাম :
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে : আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদের দিনে আমি মনে করতে চাই সেসব শহীদ ভাইদের কথা : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঈদের দিনও ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর হামলা নতুন বাংলাদেশ গঠন করার আহ্বান : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোডস ব্রেক লিমিটেড: সল্যুশন ওরিয়েন্টেড প্রযুক্তি সহযোগিতার নতুন দিগন্ত মালয়েশিয়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইলন মাস্কের ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে বন্ধে স্টারলিংককে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে: প্রেস সচিব দেশব্যাপী অপরাধ দমন অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ : ড. ইউনূস সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর টহল




তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে আইন সংশোধন প্রয়োজন

স্টার মেইল, ঢাকা
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১

বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধ করতে আইন সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানান।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত ’তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন সর্ম্পকিত জরিপের ফলাফল প্রকাশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তারা। অনলাইনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন হেল্থ ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান।

সভায় বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, যুগ্ম সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধূরী, বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. মোস্তফিজুর রহমান, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম সরকার রবিন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধূরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্সের আতাউর রহমান মাসুদ, দোকান মালিক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর কায্যুম তালুকদার, গ্রোসারি বিজনেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন খান ও বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন ও পরবর্তীতে এর যথাযথ সংশোধন করে সরকার। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ আবারো আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে এ ধরনের জরিপের ফলাফল আইন সংশোধনে সহযোগিতা করবে। যদি সকলের সমান ইচ্ছ শক্তি ও সহযোগিতা থাকে তাহলে ২০৪০ সালের পূর্বেই আমরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।

অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, কোনো আইন যখন প্রণয়ন করা হয় তখন আইনে অনেক বিষয় বলা থাকে এবং অনেক বিষয় বলা থাকে না কিন্ত উহ্য থাকে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনেও তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শনের বিষয় সরাসরি উল্লেখ না থাকায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শিত হচ্ছে। সুতরাং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল আইন সংশোধনের সময় এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখবে।

জরিপের ফলাফলে বলা হয়, বিদ্যালয় ও খেলার মাঠের একশো গজের মধ্যে ৯০ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় হয়। আর ৮২ শতাংশ বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য শিশুদের দৃষ্টি সীমানার মধ্যে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ৬৪ শতাংশ বিক্রয়কেন্দ্রে চকলেট, ক্যান্ডি, খেলনা, মিষ্টি বা অন্যান্য সামগ্রীর পাশে বা সাথে তামাকজাত দ্র্রব্যের প্রদর্শন দেখা যায়। তামাকজাত দ্রব্যের আকর্ষণীয় প্রদর্শনীর কারণে শিশু-কিশোরদের তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করছে।

বক্তারা বলেন, বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন, খুচরা বিক্রয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা নেই। আইনের এই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে তামাক কম্পানিগুলো। তাই আইনটি সংশোধনে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।




আরো পড়ুন