অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত কভারস্ক্যান নামক গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘস্থায়ী কোভিড সংক্রমণে তরুণদেরও আক্রান্ত হওয়ার চার মাস পরও একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। ৬০ হাজারের বেশি ব্রিটিশ নাগরিকের ক্লান্তি, শরীরব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো কোভিড-১৯ এর উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে জানানো হয় গবেষণাটিতে। কম ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব কেমন হতে পারে তাই উঠে এসেছে এই গবেষণায়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত কভারস্ক্যান নামক গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সহযোগী অধ্যাপক অমিতাভ ব্যানার্জি জানান, আক্রান্ত হওয়ার পর ২৫ শতাংশ রোগীর দুই বা ততোধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘এধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে সৃষ্ট শারীরিক সমস্যাগুলো রয়ে যায় নাকি ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হয় তা বোঝার জন্যই এ সংক্রান্ত গবেষণার প্রয়োজন।’
গবেষণায় অংশগ্রহণ করা ২০১ জন রোগীর মধ্যে ১৯৭ জন আক্রান্ত হওয়ার পর ক্লান্তিতে ভোগেন, ১৭৬ জন মাংশপেশীর ব্যথায় এবং ১৬৬ জন মাথাব্যথায় ভুগেছেন।
অনেক রোগীর উপসর্গের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সংযোগ ছিল। শ্বাসকষ্ট উপসর্গের রোগীদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভোগা রোগীদের যকৃৎ ও অগ্ন্যাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার আগে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি; তাদের অনেকের অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও থাকতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৪৪ বছর।
কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের চিকিৎসার জন্য ৪০টি হাসপাতাল খোলার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) । এনএইচএসের প্রধান নির্বাহী স্যার সিমন স্টিভেনস বলেন, ‘ইতোমধ্যেই অনেকের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী কোভিডের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে, এবং এর মাধ্যমে আরও হাজার হাজার নতুন সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে।’
সূত্র: ডেইলি মেইল