বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪ জন প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ্।
অভিযুক্ত প্রিজাইডিং অফিসারগণ হলেন ধুনট মহিলা কলেজের প্রভাষক ফরিদুল ইসলাম, জিএমসি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মেহেদী হাসান, প্রভাষক মজনু আলম সরকার ও প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ জানুয়ারি ধুনট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন নারী ও ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনিত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাহা সন্তোষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র এজিএম বাদশাহ্ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ধুনট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৩ জন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ৯টি কেন্দ্রে ৩১টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন ১২ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬২ জন পোলিং অফিসারের একটি প্যানেল তৈরি করে। গত সোমবার প্যানেলের তালিকাভুক্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এ অবস্থায় ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪ জন প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা ও নির্বাচনী প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এজিএম বাদশাহ্ বলেন, যারা সরাসরি একটি প্রার্থী বা তার প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালায়, এমন ব্যক্তিরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অথচ এমন চারজন ব্যক্তিকে প্রিজাইডিং অফিসার করা হয়েছে। এ কারণে রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোকাদ্দেছ আলী বলেন, ৪ জন প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে একটি প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটির প্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।