পাবনা আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জালাল উদ্দিনের ব্যবস্থাপনায় ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর গ্রামে বৃষ্টিতে দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা পানির নিস্কাশন ব্যবস্থা করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কয়েক মাসের অবিরাম বৃষ্টির কারণে পানি নিস্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় চলাচলের রাস্থাসহ প্রায় ৩০টি পরিবার জলাবদ্ধতায় অমানবিক জীবন যাপন করা আসছিলো। এছাড়া ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল শতাধিক একর জমির ফসল। দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার ফলে রাস্তাঘাটসহ ক্ষতিগস্ত মুখে পড়েছিলো এই সমস্ত পরিবার ও ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামবাসীরা যা ছিলও তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা।
এই বিষয়ে আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, ভবানীপুর গ্রামের কিছু মানুষ থানায় এসে দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরাশনের ব্যাপারে আতাইকুলা থানার সহযোগিতা কামনা করেন। পরে আমি গ্রামবাসীকে সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাশে আতাইকুলা থানা আছে বলে তাদের আশ্বাস দেয়া হয়।
পরবতীতে ভূলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু ইউনুসকে বিষয়টি জানালে তার উপস্থিতে আতাইকুলা থানার সমন্বয়ে আধুনিক ও সনাতন পদ্ধতিতে ভুক্তভোগী পরিবারসহ রাস্তায় জমে থাকা পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা করা হয়।
এসময় ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, এই জলাবদ্ধতা নিরসনের কারনে আমাদের বসবাসের ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। এছাড়াও আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন সাপ ও পোকার কামড় থেকেও রক্ষা পেলো। দীর্ঘদিন পানি থাকার কারণে মশার উৎপাত ছিলো খুবই বেশি। যার কারণে আমাদের পরিবারের মাঝে কিছুদিন অসুস্থতার বিষয়টি লক্ষ করা মতো ছিলো।
ওসির এমন উদ্যগে খুশি হয়েছেন ভুক্তভোগী দের মধ্যে অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন আমাদের এই পানির সমসা মেলা দিন ধরি , গ্রামের মেম্বর সহ মান্যগন্য অনেকের কাছে গিছিলাম কিন্ত কোন কাজ হলি না। পরে আমারে গেদা কলে আব্বা আমাদের থানায় যে নতুন ওসি আইছে সে নাকি খুব ফাইন। আমার মনে হয় ওসির কাছে কলিই আমরা এই সমস্যার সমাধান পাবির পারি । গেদার কথা মতো থানার যায়ে আমাদের সমস্যার কথা জানালাম পরে ওসি স্যারের চেষ্টায় আজকে আমাদের সাময়িক ভাবে পানি নামানের ব্যবস্থা করছে এই জন্য আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিনকে ধন্যবাদ জানায় এবং আমি আমার গ্রামবাসির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবী জানায় আমাদের চলাচলের রাস্তাটা যেন ভালো করে সারি দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আতাইকুলা থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: নজরুল ইসলাম বাঁধনসহ আরও অনেকেই।