পাবনা সাথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণের ডিলার মোঃ জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রবিবার স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ডিলার মোঃ জামাল উদ্দিন ওজনে চাল কম দেওয়ায় তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ভুক্তভোগীরা। পরে ডিলারের অনিয়মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক জন ব্যক্তি প্রতিবাদও করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদকর্মীরা গিয়ে সত্যতা দেখতে পান। পরে তারা বিতরন করা চাল মিটারে ওজন দিয়ে দেখতে পান ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে ২৭/২৮ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। সর্বমোট ৮১৫ জনের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫১৫ জনকে ১০ টাকা কেজি চালে কার্ড দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, চাল বিতরনের সময় দায়িত্বে থাকা ফুড অফিসার ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতেই আমাদের চাউল কম দিয়েছে ডিলার। আমরা প্রতিবাদ করলেও দায়িত্বে থাকা অফিসার তিনি ডিলারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেননি।
এমন অভিযোগের ভৃত্তিতে ফুড ও ট্যাগ অফিসার বলেন আমাদের উপস্থিতিতে কাউকে চাউল কম দেওয়া হয়নি। তবে আ্মরা আসার পুবে কম দিয়েছে কি না তা বলতে পারি না। যেহেতু অনেকেই অভিযোগ করছে তাই আমরা বিষয়টা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো যাহাতে ভবিষ্যতে এমন অপ্রতিকর ঘটনা আর না ঘটে।
এব্যাপারে স্থানীয় ধুলাউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন হতদরিদ্রের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’। এটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি’র অংশ বিশেষ। আর তা বাস্তবায়নে ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছেন । প্রতি মাসে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি হারে চাল দেয়ার এক মহতী কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও সমস্যা সংকূল দেশে সীমিত সম্পদ থেকে এ ধরনের জনকল্যাণ জনহিতকর কর্মসূচি কল্পনাতীত । যে পাঁচ মাসে কাজ-কাম কম থাকে সেই সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিলে বিশেষ এই খাদ্য কর্মসূচীর অধীনে চাউল বিতারণ করা হবে। আর এই হতদরিদ্রের চাউলের ভিতর থেকে যদি জন প্রতি ৩/৪ কেজি করে কম দেয়া হয় তা অত্যান্ত দুঃখজনক ব্যাপার, যা বাংলাদেশ সরকারকে প্রশ্নবৃদ্ধ করছে বলে আমি মনে করি। এব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বেশ কয়েক জনকে জানিয়েছি এবং আমি আশা করি এর একটা ব্যাবস্থা তারা গ্রহন করবেন ।
অন্যদিকে ডিলার মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র মূলক ,আমাকে ফাঁসানোর জন্যই মূলত এমনটা করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
এবিষয়ে পাবনা সাথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় ভাবে জানানো হয়েছে। আমি বিষয়টা সত্যতা যাচাই পূবক এমন অনিয়মের সাথে জড়িত ডিলার ও দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।