নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে কিছুদির পরই। অথচ আগের বছরের শিক্ষা উপকরণ জামা, জুতা, খাতা-কলম কেনার ভাতা এখনও দেয়া হয়নি। এরই মধ্যে প্রাথমিকের অনেক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তির মেয়াদ না থাকায় ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও কিডস অ্যালাউন্সের টাকা বিতরণ করা হয়নি। এর পরিমাণ ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি জানান, এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ছিল। মেয়াদ বাড়াতে ১৩ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চুক্তির খসড়া অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পুরো টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করা হলেও তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘টাকাগুলো ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার (ইএমটি) করা আছে। এখন শুধু বিতরণকারী সংস্থার কাছে গেলেই তা বিতরণ করা যাবে। কয়েকজন কর্মকর্তার খামখেয়ালির কারণেই প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী এই ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদের সময় শিক্ষার্থীদের কিডস অ্যালাউন্স ও উপবৃত্তির অর্থ দেয়া হয়েছে। এখন বিতরণের চুক্তির মেয়াদ না থাকায় বাকি অর্থ বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে টাকা বিতরণ করা হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমকে একাধিকবার ফোন এবং এসএমএস দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসে নগদের সঙ্গে চুক্তির সময়ের মধ্যেই অর্থ ছাড় করে ইলেকট্রনিক মানি হিসেবে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকেও পাঠানো হয়েছে। পরে একটি চিঠি দিয়ে আবার তা আটকে রাখা হয়েছে।
৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর ১৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় জানানো হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নগদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।