মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মো.মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া’র (এনডিসি) সদয় নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের উদ্যোগে গত ১৩-১৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে জার্মানির অন্যতম ব্যস্ত শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসী বাংলাদেশি ও অন্যান্য সেবা প্রার্থীদের জন্য ৩ দিন ব্যাপী এক কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
সেবা প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কনস্যুলার টাস্ক ফোর্স সভাপতি ও মিনিস্টার জনাব কাজী মুহাম্মদ জাবেদ ইকবাল, দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব তৌহিদ ইমামসহ দূতাবাস টিমের সদস্যবৃন্দ এ কে এম রেজাউল করিম, রেহানা বেগম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. শরীফ হোসেন।
৩ দিন ব্যাপী এই কনস্যুলার সেবা কর্মসূচিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপুল সাড়া ও উৎসাহ -উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।ফ্রাঙ্কফুর্টসহ মিউনিখ,আখেন, অফেনবাখ, স্টুটগার্ট এবং অন্যান্য শহর থেকেও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি দূতাবাসের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগে সেবা গ্রহণ করেছেন।
অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে দূতাবাসের উক্ত কনস্যুলার টিম ৩ দিনে প্রায় ৩ শত ই-পাসপোর্ট আবেদন ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট গ্রহণ, ৭২টি ভিসা আবেদন গ্রহণ, ৭টি সত্যায়ন সার্টিফিকেট, ১০টি পাওয়ার অফ এটর্নী এনডোর্সমেন্ট, ৬টি বিবিধ সার্টিফিকেট প্রদানের কাজসহ অসংখ্য মানুষের বিবিধ কনস্যুলার বিষয়ক জিজ্ঞাসার সরাসরি উত্তর ও সমাধান প্রদানে সক্রিয় ও নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করেছে।
পাশাপাশি, সরকারের রেকর্ড পরিমান রাজস্ব আদায় নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও, প্রবাসী বিশেষ ব্যক্তিত্ব, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশিদের সাথে দূতাবাস কর্মকর্তারা মত বিনিময় করেন। এই যোগাযোগ দূতাবাসের সকল কর্মসূচিকে আরো বেগবান করবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে, সকল ধরণের আবেদনের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে কনস্যুলার ক্যাম্পেই বিনামূল্যে প্রিন্ট ও ফটোকপি সুবিধা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ঘোষিত সময়ের বাইরেও দীর্ঘ রাত পর্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সকলকে সেবা প্রদান করা হয়, যা সেবা গ্রহীতা প্রবাসীদের বিশেষভাবে উপকৃত করেছে। নারী ও শিশুসহ পরিবার, প্রসূতি অথবা অসুস্থ সেবাপ্রার্থী বিশেষ ক্ষেত্রসমূহে সেবা প্রদান করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সকলে দূতাবাসের কনস্যুলার টিমের এইরূপ কর্মদক্ষতা ও সেবা প্রদান মানসিকতার আন্তরিক প্রশংসা জানিয়ে জার্মানির অন্যান্য শহরেও একই ধরণের কনস্যুলার সফরের অনুরোধ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
ফ্রাঙ্কফুর্টে বসবাসরত সকল প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই নতুন মাত্রার কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়ে দূতাবাসের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।