৪ শত ডলার নিয়ে নয় বরং বিনা খরচে লেবানন প্রবাসীদের দেশে ফিরিয়ে নেবার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লেবানন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা। ২০ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় লেবানন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই দাবি জানান।
সভায় নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, লেবাননে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে প্রবাসীরা ঠিকমত চলতে পারছেনা, মানবেতর জীবন যাপন করছে। যেখানে বাসাভাড়া অনেক প্রবাসী দিতে পারছেনা, দেশ থেকে টাকা এনে যেখানে জীবন চালাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস দাবি করতে ৪ শত মার্কিন ডলার। যা লেবানন প্রবাসীদের প্রতি জুলুম ছাড়া আর কিছু নয়।
বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়ে বলেন, বিনা খরচে প্রবাসীদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। ৪ শত মার্কিন ডলার দেয়ার পরিস্থিতিতে লেবানন প্রবাসীরা নেই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দূতাবাসের কাজ প্রবাসীদের সেবা দেয়া কিন্তু সেবা দিতে গিয়ে যদি প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট আরো বাড়িয়ে দেন, তাহলে এই সেবার কোন দরকার নেই।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দূতাবাসে মূল্যায়ন করা হয়না অভিযোগ করে নেতাকর্মীরা বলেন, দূতাবাসে গেলে বলা হয় আপনারা কিসের আওয়ামী লীগ আগে কাগজ দেখান। নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করে বলেন, বঙ্গবন্ধর সৈনিকদের কোন কাগজ প্রয়োজন হয়না। দূতাবাসে কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্য তারা বলেন, প্রবাসীদের সাথে ভাই বন্ধু সোলভ ব্যবহার করে তাদের সেবা দিন। প্রবাসীদের সাথে দূর্ববহার না করতে অনুরুধ করেন তারা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিকামী জনতা সেদিন মাঠে ঝাপিয়ে পরেছিল, রুখে দিয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীদের। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের চুরান্ত বিজয় হয়েছিল। আর স্বাধীন দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শক্ত হাতে দেশের হাল ধরে রয়েছে বলেই দেশ আজ উন্নয়নের মহা সড়কে। প্রধানমন্ত্রী পেরেছেন নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু গড়ে তুলতে।
লেবানন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা দুলা মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তপন ভৌমিক ও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান শ্যামল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুগ্ন আহবায়ক সুফিয়া আক্তার বেবী, বাবুল মুন্সি, বাবুল মিয়া সহ অনেকে।
আরো উপস্থিত ছিলেন, আতিকুর রহমান, ফরিদ ভূইয়া, আজাদ হোসেন ভূইয়া, এরশাদ খান, জামাল শেখ, আকাশ শেখ, সিরাজ মিয়া, ইব্রাহীম খান, শহীদ মিয়া, হিরন মিয়া, সবুজ দেওয়ান সহ অনেকে।