ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন অ্যাওয়ার্ডে অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে তৃতীয় হয়েছেন রাকিব হাসান রাফি। অভিবাসনবিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য ব্র্যাক দিয়ে থাকে এই সম্মাননা।
দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অভিবাসনবিষয়ক সাংবাদিকতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে ব্র্যাক ২০১৫ সাল থেকে প্রবর্তন করে ‘ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’।
গত ৩০ ডিসেম্বর আয়োজিত হলো ষষ্ঠ মাইগ্রেশন অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম। যেখানে অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রাকিব হাসান রাফি। তিনি স্লোভাকিয়ায় ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছাতে ফিজিক্স এন্ড এস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তার গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে।
ফিল্যান্সার হিসেবে রাকিব অর্জন করে এই পুরষ্কার। ‘অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশের নতুন রুট বলকান অঞ্চলের ইতিকথা’ শিরোনামের লেখাটি প্রকাশ পেয়েছিল ‘দি ডেইলি স্টার’ পত্রিকার অনলাইনে।
লেখালেখি কিংবা সাংবাদিকতা নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না রাকিবের। লকডাউনে থাকাকালে সময় কাটাতে শুরু হয় তার লেখালেখির যাত্রা।
পুরষ্কার জেতার আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করতে তিনি বলেন, “স্লোভাকিয়ায় লকডাউনে ঘরে আবদ্ধ থাকার সময়ে ইউরোপের অবৈধভাবে প্রবেশের পথ বলকান অঞ্চল নিয়ে একটা লেখা লিখি। সেই লেখার জন্যই এত বড় একটা সম্মাননা পেয়েছি আমি। নিঃসন্দেহে এই পুরষ্কার আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। ভবিষ্যতে যে কোনো কাজে এই পুরষ্কার আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”
অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে প্রথম পুরষ্কারটি জিতেছেন প্রথম আলো অনলাইনের মানসুরা হোসাইন এবং দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের সাদ্দিফ সোহরাব। রাকিব ছাড়াও আরও ১৬ জন সাংবাদিক অর্জন করেন এই সম্মাননা। ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। প্রবাসে থাকার কারণে রাকিবের পক্ষ থেকে পুরষ্কারটি গ্রহণ করেন তার পিতা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সিনিয়র ডিরেক্টর কেএএম মোর্শেদ এবং মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান।
অ্যাওয়ার্ডজয়ী রাকিব হাসান জানান, ভবিষ্যতে বাবা-মা’র স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি চালিয়ে যেতে চান লেখালেখির কাজ।