মালয়েশিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি শিল্প উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দেশের দ্রুততম বর্ধনশীল খাতগুলির মধ্যে এটি একটি, বলেছেন মালয়েশিয়া বিদেশী বাণিজ্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (ম্যাট্রেড)।
উপ -প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরিমহটন ম্যাট সালেহ একটি বিবৃতিতে বলেন, বিদেশে মালয়েশিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে আরো পণ্য ও সেবা বাজারজাত করা যায় আন্তর্জাতিকভাবে, যা আমাদের দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে এবং বিদেশে মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ডের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার মোট বাণিজ্যর ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.১ ট্রিলিয়ন হয়েছে, যা বাণিজ্য, রপ্তানি এবং আমদানির ক্ষেত্রে চলতি অর্ধ-বছরের সর্বোচ্চ মূল্য। বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বছরে ৮৭.৭ শতাংশ বেড়ে ১১৫.০৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত হয়েছে।
জাতীয় বাণিজ্য প্রচার সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রচারের আয়োজনে ডোমেস্টিক ট্রেড অ্যান্ড কনজুমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রনালয়, মালয়েশিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজ অ্যাসোসিয়েশন এবং পেরবাদানান ন্যাশনাল ভিডির সাথে সহযোগিতা করে।
ম্যাট্রেড বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি শিল্প করোনা মহামারীর প্রভাব থেকে ক্ষতিপূরণ করার পূর্বাভাস দিচ্ছে, এদিকে দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ১০ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং এই কর্মসংস্থানের বেশিরভাগই খুচরা, খাদ্য এবং পরিষেবা শিল্পে হিসাবে কাজ করবে।
সংস্থাটি বলেছে, খাদ্য ও পানীয় শিল্পে, মহামারী প্রভাবের ফলে আগামী বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় রান্না ঘর এবং অন্ধকার রান্না ঘরের চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজারদের সম্ভাব্য অংশীদার ওভারসিসের জন্য ফ্ল এক্সিবল এবং সাশ্রয়ী মূল্যের মাস্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি প্যাকেজ অফার করে সুযোগগুলি কাজে লাগাতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে,”।
বর্তমানে,৬৫টি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্র্যান্ড যেমন ম্যারি ব্রাউন, ম্যানহাটন ফিশ মার্কেট, সিক্রেট রেসিপি, চিকেন রাইস শপ, নেলসনস, রয়েল সেলাঙ্গর, গ্লোবালআর্ট অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ, স্মার্ট রিডার, পনি, কিউ-ডিস এবং লন্ড্রি বার, ৬৬ টি দেশে তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে ।
ম্যাট্রেড পক্ষ থেকে বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি শিল্প করোনা মহামারীর প্রভাব থেকে ক্ষতিপূরণ করার পূর্বাভাস দিচ্ছে, এদিকে দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ১০ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং এই কর্মসংস্থানের বেশিরভাগই খুচরা, খাদ্য এবং পরিষেবা শিল্পে হিসাবে কাজ করবে।
ফ্রাঞ্চাইজির কারণে বিশ্বের ভাল ভাল পন্য পাওয়া যায়। মালয়েশিয়ার কিছু ব্র্যান্ড আছে যেগুলো অন্য দেশে ফ্রাঞ্চাইজি দিয়েছে। চীন এবং সিঙ্গাপুরে এর মত বাংলাদেশও এই সুযোগ নিতে পারে এবং বিখ্যাত সব ব্র্যান্ড দেশে নিতে পারে। তাতে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি করবে বলে প্রবাসীরা মনে করেন।
মালয়েশিয়ার শিক্ষা খেলোয়াড়রা প্রি-স্কুল, ইংরেজি এবং শিশুদের ইসলামিক কেন্দ্রগুলির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য প্রধানত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে