দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধশীল দেশ মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পামঅয়েল রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং পামঅয়েলের মূল্যসংযোজন সংক্রান্ত শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়, ২ নভেম্বর ২০২১ তারিখ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃগোলাম সারোয়ার ও মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন-এর সাথে পুত্রজায়াতে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মালয়েশিার মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মালয়েশিয়ার পামওয়েল সেক্টরের বিকাশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবদানের কথাকৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন যে, মালয়েশিয়া এশিয়ার দেশগুলোতে পামওয়েলের বাজার সম্প্রসারণে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে তিনি পামঅয়েলের উৎপাদন ও এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য নিরবচ্ছিন্ন শ্রমিক সরবরাহ, আবাসন সমস্যা নিরসনসহ শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। যেমন মার্কেটিং, প্যাকেজিং, ট্রান্সপোর্ট, প্রচার গবেষণা ইত্যাদি ইত্যাদি।
হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার দেশে মোট ১০০টি ইকনোমিক জোন এবং ২৮টি হাইটেকপার্ক স্থাপন করছে। তিনি মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে জানান যে, মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ সকল ইকনোমিক জোন ও হাইটেকপার্কে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে। তিনি আরও জানান যে, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের অনুকরণে মালয়েশিয়া একটি বিশেষ ইকনোমিক জোন বরাদ্দ নিয়ে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে। মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।
এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার ও মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন নারীর ক্ষমতায়ন, মালয়শিয়ায় প্লান্টেশন সেক্টরে নিয়োজিত বাংলাদেশী শ্রমিকদের স্বার্থসুরক্ষা, দু’দেশের মধ্যে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিস্বাক্ষরের নেগোসিয়েশন শুরু করা বিষয়ে আলোচনা করেন। সৌজন্য সাক্ষাতকালে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) মোঃ রাজিবুলআহসান, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন এবং মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অব প্লান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটি’র ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।