মিয়ানমার থেকে সশস্ত্র অবস্থায় কারও বাংলাদেশে ঢোকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির ফোর্স বাড়ানো হয়েছে, কোস্টগার্ড সজাগ রয়েছে, আমাদের নৌবাহিনীও সেখানে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কাজেই ওখান থেকে কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢুকবে সেই অবস্থা আর নেই।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের দুই নম্বর গেটে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু আরাকান আর্মি নয়; তাদের অনেক গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা যুদ্ধে লিপ্ত আছে। আরাকান আর্মি বেশ কিছু দিন ধরেই এই অঞ্চলে যুদ্ধ করছে। এই অঞ্চলে যুদ্ধ করলে আমাদের এখানে কিছু গোলাগুলির শব্দ আসছে সেটি যেমন সত্য, তেমনি সরকারি বাহিনী বিজিপি এবং অন্যান্য সরকারি লোকজন ভয়ে আত্মরক্ষার্থে আমাদের দেশে পালিয়ে এসেছে, সেটিও আপনারা দেখেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করছি। তারা যতই গোলাগুলি করুক, আমরা প্রতিবাদ করছি। আমরা তাদের ঢুকতে দিচ্ছি না।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, এস এম শফিউল্লাহ, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অভ্যন্তরীণ মতবিনিময় সভা করেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এবার টেকনাফের নাফ নদের ওপার থেকে থেমে থেমে ভারী গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। এ সময় মিয়ানমারের আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আতঙ্কে আছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।