প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আর এটাই হলো মুজিববর্ষের অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষে ৬৬ হাজারের বেশি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমার জন্য আনন্দের দিন। যেসব মানুষের ঠিকানা ছিল না, ঘর ছিল না, তাদের মাথা গোজার ঠাঁই দিতে পারছি। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরিব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূরণ করতেই গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, মুজিববর্ষে এটাই সবচেয়ে বড় উৎসব। শিগগিরই আরও এক লাখ গৃহহীন পরিবার ঘর পাবে।
সকালে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের মাঝে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়ালে এ সময় সংযুক্ত ছিল- খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, দেশের সব উপজেলাতেই অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। আজকের ৬৬ হাজারের পাশাপাশি আগামী মাসে আরও ১ লাখ পরিবার বাড়ি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এই কাজ করছে। খাসজমিতে গুচ্ছ ভিত্তিতে এসব ঘর তৈরি হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।
উপকারভোগীদের মধ্যে যাদের জমি আছে, তারা শুধু ঘর পাবে। যাদের জমি নেই, তারা ২ শতাংশ জমি পাবে (বন্দোবস্ত)। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে এসব ঘর। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট থাকছে। টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে।