হেফাজতের প্রয়াত আমীর শাহ আহমদ শফীকে জিম্মি করে আনাস মাদানির দোসররা মাদরাসার নিরীহ ছাত্রদের ওপর নির্যাতন চালাতো বলে দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দরা। তারা বলেন, শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। লিখিত বক্তব্য পেশ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল আবছার আল আজহারী।
তিনি বলেন, আহমদ শফির মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, শাহ আহমদ শফির স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র মূলকভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
নুরুল আবছার আরো বলেন, শফীকে জিম্মি করে আনাস মাদানি তার দোসররা ছাত্রদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাতো। ছাত্ররা অসহ্য হয়ে মাদ্রাসায় আন্দোলন করে হটিয়েছে। হুজুরের মৃত্যুর সঙ্গে হেফাজতের নেতৃবৃন্দ ও মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্ররা জড়িত নয়। হুজুরের মৃত্যুটি স্বাভাবিক। একটি চিহ্নিত দালাল গোষ্ঠী আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে জিম্মি করে হাটহাজারী মাদরাসায় ব্যক্তিতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল। সেখানে নানা অনিয়ম এবং ছাত্রদের ওপর অব্যাহত হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এছাড়া বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষককে মাদরাসা থেকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যা ছিল অত্যন্ত অবমাননাকর। তাদের অনিয়ম ও ক্রমাগত হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্ররা জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এবং বিবরণে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা কেউ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সম্পূর্ণ মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক। মিথ্যা বানোয়াট মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, আল্লামা নোমান ফয়জী, আল্লামা তাজুল ইসলাম, আল্লামা মোহাম্মদ শোয়াইব, আল্লামা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ, আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দীন, আল্লামা লোকমান হাকিম, আল্লামা কবির আহমদ, আল্লামা হাবিবুল্লাহ আজাদি, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, আল্লামা দিদার কাসেমী, মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনীর, আল্লামা আশরাফ আলী নেজামপুরী, আল্লামা ফোরকান আহমদ, আল্লামা ওমর কাসেমী, আল্লামা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, আল্লামা আতাউল্লাহ কৈয়গ্রাম. মাওলানা মীর ইদরিস নদভী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, জনাব মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ, মাওলানা শফিউল আলম, মাও. ড. নুরুল আবসার আজহারী, মাও. আনোয়ার শাহ আজহারী মাও. হারুন আজিজ নদভী, মাওলানা মুফতি আবু সাইদ, মাওলানা মুফতি রাশেদ, মাও. মুফতি আব্দুল্লাহ নাজিব, মাওলানা মোহাম্মদ বাবুনগরী।