সরকারি চাকরিতে যোগ দেয়ার সময় এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। সে আলোকে বিধিমালা তৈরি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে ডোপ টেস্টের পরিধি বাড়াতে বিধিমালা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সংস্থাটি। এরপর আইন মন্ত্রণালয় কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে সেটি ফেরত পাঠায়। সেগুলো ঠিক করে গত বছরের ২৮ অক্টোবর আবারো ফাইলটি পাঠানো হয়।
যাচাই-বাছাই শেষে কিছু সংশোধনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাধ্যমে গত ৩ ডিসেম্বর সেই ফাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ফেরত আসে। তবে নতুন বছরের শুরুতে এ বিধিমালা তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় আলোচনার যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
* মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী, এসআই ও ইন্সপেক্টরদের মাদক নির্মূলে সহযোগিতার জন্য অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব একটি কমিটি করে দেবেন। কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
* কুরিয়ার সার্ভিসে মালামাল পরিবহনের সময় পরিবহনকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি সংরক্ষণ করতে পারবে সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। * দেশের বন্দরগুলোতে মাদক শনাক্ত করতে ডগ স্কোয়াড মোতায়েনের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একটি ডগ স্কোয়াডের প্রজেক্ট তৈরি করবেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচাইয়ের ভিত্তিতে বিমানবন্দর বা ল্যান্ডপোর্টে ডগ স্কোয়াড দেয়া হবে।
* মাদক ব্যবসায়ীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদককারবারিদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য এনটিএমসির কার্যালয়ে মাদকদ্রব্যের একজন কর্মকর্তা অবস্থান করবেন।
* মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের কুফল প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে। এ বিষয়ে টিভি ও বেতারে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হবে।
* পাঠ্যপুস্তকে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
* সারাদেশে মাদকের মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রতি জেলায় বিশেষ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত গঠনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধের সিদ্ধান্ত হয়।