দ্বিতীয় ধাপে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই উখিয়া কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে থাকে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গারা।
অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে সোমবার সকালে শুরু হয় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম যাত্রা। তিনটি গাড়িবহরে ৫০টি বাসযোগে যাত্রা করেছে ৪২৭ পরিবারের ১৮০৪ জন রোহিঙ্গা।
বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আসা ৫৯৫ জন রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথম গাড়ি বহর সকালে এবং দুপুরে ৫৩৯ জনকে নিয়ে দ্বিতীয় গাড়িবহর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। সন্ধ্যায় সর্বশেষ গাড়িবহর ৬৭০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে ট্রানজিট পয়েন্ট ছাড়ে।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এর আগে ৪ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দলে এক হাজার ৬৪৫ জনকে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।