কঠোর বিধিনিষেধের দশম দিন চলছে। সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। চেকপোস্ট অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের দীর্ঘ জট দেখা গেছে। তবে পুলিশি কড়া নজরদারি রয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ফুট-ওভারব্রিজের নিচে দেখা গেছে, কাজের খোঁজে দিনমজুররা বসে রয়েছেন। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে বলে লকডাউনে বের হতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন।
এদিকে রাস্তায় রিকশার যাত্রী কম হওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় হচ্ছে না বলে জানান রিকশাচালকরা। জমার টাকা তুলতেই কষ্ট হচ্ছে। ফলে অনেক চালকই রিকশা নিয়ে বের হচ্ছেন না।সাদেক নামের একজন রিকশাচালক বলেন, লকডাউনের আগে ভালো আয় হতো। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে সেভাবে আয় হচ্ছে না। আগে প্রতিদিন জমার টাকা দিয়েও এক হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারতাম। কিন্তু এখন জমার টাকা ও খাওয়ার টাকা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বের হই না। মাঝে মাঝে বা একদিন পর রিকশা চালাচ্ছি।
করোনা সংক্রমণ বাড়ার ফলে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ পালন করছে সরকার। ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধে দিলেও পরবর্তীতে তা আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।