এবার ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রধানের বাড়ি। হামাসের আল আকসা টেলিভিশনের এক খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, গাজার হামাস প্রধান ইয়াহইয়া আল সিনওয়ারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইয়াহইয়া আল সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তবে হামলায় এই নেতার কোনো ক্ষতি হয়েছে কীনা বা তিনি হামলার সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন কীনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।
গত এক সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জনই শিশু। অপরদিকে আহত হয়েছে আরো ৯৫০ জন।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার নতুন করে দুই ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
গত সাত দিন ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছেই। রোববার সকালের দিকেও বিমান হামলা চালিয়েছি ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নতুন করে আরো চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ডজন খানেক। ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের কমপক্ষে দু’টি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে।
শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া জানিয়েছেন, পাল্টা জবাব দেয়া হবে।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, ‘আল্লাহর সাহায্যে আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছয়মাস যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রেখেছি।’ শনিবার (১৫ মে) হামাসের রকেট হামলায় এক ইসরায়েলি নিহতের পরপরই ভিডিও বার্তায় তিনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
আবু ওবায়দা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গাজার বিভিন্ন আবাসিক ভবনে নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের জন্য শিগগিরই ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।’