1. admin@starmail24.com : admin :
  2. editor@starmail24.com : editor@starmail24.com :
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ - starmail24
শিরোনাম :
ইলন মাস্কের ইন্টারনেট শাটডাউন চিরতরে বন্ধে স্টারলিংককে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে: প্রেস সচিব দেশব্যাপী অপরাধ দমন অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ : ড. ইউনূস সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর টহল রাজধানীর ঢাকার বনশ্রীর ছিনতাইয়ের ঘটনায় দারোয়ান আটক, নতুন মোড় ঝিনাইদহে সেচখালের পাশ থেকে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, বড়াইগ্রাম থানার ওসি প্রত্যাহার গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণ: ঘটনার প্রমাণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাতে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ৬৪ এসপির পরিণতি কী হবে, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ ঢাকায় কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে ছড়ায় আগুন, পুড়ে ছাই ২০ দোকান




না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

স্টার মেইল ডেস্ক:
  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

ব্যারিস্টার মওদুদের ব্যক্তিগত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসা নেন। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। সেখানে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থেকে পরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার স্ত্রী হাসনা জসিমউদদীন রয়েছেন।

মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মওদুদ আহমদ বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন। এরশাদের আমলে অল্প সময়ের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তিনি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। পাঁচবারের সংসদ সদস্য। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিক মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে ব্রিটেনের লন্ডনে লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলনে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন।

১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ সালে তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আসন থেকে পাঁচবারের সংসদ সদস্য। সবশেষ ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। তবে ২০০৮ সালে নিজ আসন থেকে হেরে যাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া বগুড়ার একটি আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।




আরো পড়ুন