বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২১ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার অতিক্রম করেছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ লাখ ৫ হাজার ৫৬ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৩৯৪ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ১৩ হাজার ৯২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩২ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৭ লাখ ৫৩ হাজারের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ২৪৩ জনের।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (৩৬ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি), যুক্তরাজ্য (প্রায় ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার), ফ্রান্স (৩০ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি) ও স্পেন (২৪ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ৪৬ হাজার ১৭৪ জন)। এরপর যুক্তরাজ্যে ৯৬ হাজার ১৬৬ জন, ইতালিতে ৮৪ হাজার ৬৭৬ জন, ফ্রান্সে ৭২ হাজার ৭৮৮ জন ও রাশিয়ায় ৬৭ হাজার ৩৭৬ জন মারা গেছেন।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬১৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জনে পৌঁছেছে। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এছাড়া, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২০০ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৬টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ২৭৪টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ০৪ শতাংশ।
নতুন যে ১৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১০ এবং নারী ৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৪৭ জন বা ৭৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ৯৩৪ জন বা ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৮ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।