করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার এক বিবৃতিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এসকেবায়ো উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা বিশ্বব্যাপী সরবরাহে ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানায় সংস্থাটি।
তুলনামূলক গরিব দেশগুলোতে যাতে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ছাড়পত্র দিয়েছে। বাংলাদেশেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা দেয়া হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মহামারি মোকাবিলায় সব দেশকে টিকাকরণের আওতায় আনার তৎপরতা নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯০টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। এই প্রতিটি দেশেই করোনার টিকা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ডক্টর মারিযেঞ্জালা সিমাও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের যে দেশগুলো করোনার টিকা সংগ্রহ করতে পারেনি, তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের আওতায় আনতে সাহায্য করবে এই উদ্যোগ।
এর আগে শুধু ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দ্বিতীয় টিকা হিসেবে অনুমোদন পেলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশ করার কয়েক দিনের মধ্যে এই টিকা সংস্থাটির অনুমোদন পেল।
বিশেষজ্ঞ প্যানেল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে বলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে ধরন দেখা দিয়েছে সেটাসহ সব দেশেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাটি প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় যে কোনো টিকার জন্য আবশ্যক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তুলনামূলক কম দাম এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার চেয়ে বিতরণ সহজ হওয়ায় এই টিকার প্রশংসা করা হচ্ছে।